Powered by Blogger.

Followers

জ্যান্ত কবর!

মৃত্যুর পর মাটির নিচের জগতে প্রবেশ করতে হবে_এ কথাটা তো সবারই জানা। কিন্তু যদি এমন হয়, কোনো মানুষকে মৃত ভেবে কফিনে ঢুকিয়ে কিংবা মাটিচাপা দেওয়া হলো আর পরে জানা গেল, মানুষটা আসলে মৃত ছিল না! জ্যান্ত কবর নিয়ে প্রধান ফিচার লিখেছেন ফাহমিদা হক
গা শিউরানো জ্যান্ত কবর দেওয়ার ঘটনা অনেক ঘটেছে, জেনে হোক বা না জেনে। একটা সময় ছিল, যখন কাউকে শাস্তি হিসেবে কোনো কফিনে ভরে মাটিতে পুঁতে দেওয়া হতো। প্রাচীন রোমে, একজন যাজককে দোষী সাব্যস্ত করে সামান্য রুটি আর পানির সঙ্গে একটি বাঙ্ েভরে সিল করে পুঁতে ফেলা হয়। বলা হয়, যদি তিনি নির্দোষ হন তাহলে তাঁর ঈশ্বরই তাঁকে রক্ষা করবেন। অবশ্য তাঁর ভাগ্যে কী ঘটেছিল, তা জানা যায়নি। অনেক যাজককেই এভাবে প্রাণ হারাতে হয়েছে, যাঁদের মধ্যে ছিলেন সেন্ট কাস্তুলাস ও সেন্ট ভিতালিস অব মিলান।
মধ্যযুগে ইতালিতে অনেক খুনিকেও এভাবে জ্যান্ত কবর দিয়ে শাস্তি দেওয়া হতো। সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতকের গোড়ার দিকে সামন্ততান্ত্রিক রাশিয়ায়ও এমনিভাবে জীবন্ত পুঁতে ফেলে শাস্তির বিধান ছিল সেসব মেয়ের জন্য, যারা নিজেদের স্বামীকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। এই শাস্তির বিধানটি পরিচিত ছিল 'দ্য পিট' নামে। এ ধরনের শাস্তির বিধান প্রচলিত ছিল ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি সেনারা চীনা নাগরিকদের এভাবে জ্যান্ত পুঁতে ফেলত, যা 'ন্যানজিং হত্যাযজ্ঞ' নামে পরিচিত।
অনিচ্ছাকৃত ঘটনা
তবে সব সময় যে শাস্তির জন্যই জ্যান্ত কবর দেওয়া হতো, তা নয়; কখনো কখনো ভুলে জ্যান্ত মানুষকে মৃত মনে করে কবর দিয়ে দেওয়া হতো। এভাবে কবর দেওয়ার ফলে বেশির ভাগ সময়ই জীবিত মানুষটা মাটির নিচেই দম বন্ধ হয়ে কিংবা খাবারের অভাবে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে মারা পড়ে। মৃত্যুর আগেই যদি ভুলে জ্যান্ত কবর দিয়ে দেওয়া হয়_এই ভয়ে জর্জ ওয়াশিংটন মৃত্যুশয্যায় ভৃত্যদের শপথ করান, তাঁর মৃত্যুর পর ১২ দিন পার না হলে যেন তাঁকে কবর না দেওয়া হয়। ১৮৯০ সালের দিকে অনেক রোগীকেই মৃত মনে করে মর্গে পাঠিয়ে দেওয়ার দৃষ্টান্তও রয়েছে।

* দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ১৮৫১ সালে মারা যান ভার্জিনিয়া ম্যাকডোনাল্ড। কিন্তু তাঁকে কবর দিয়ে দেওয়ার পর মায়ের মনে হতে থাকে, তাঁর মেয়ে বুঝি এখনো বেঁচে আছে। ভার্জিনিয়ার কফিনটি তুলে আনার পর দেখা যায়, 'মৃত' ভার্জিনিয়ার হাত দুটি ক্ষতবিক্ষত। কফিনের গায়ে আঁচড়ের ধরন দেখেই অনুমান করা যায়, কতটা চেষ্টা করেছিল সে কফিন থেকে বেরিয়ে আসার।

* ১৮৯৬ সালে 'মৃত' ঘোষণার পর ম্যাডাম ব্লনডেনকে সমাহিত করা হয় একটি স্কুলের নিচে। কিন্তু স্কুলের বাচ্চারা যখন মাটির নিচ থেকে শব্দ শুনতে পাওয়ার অভিযোগ করে, তখন আবার কফিন ওপরে তুলে আনা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, সে সময় ব্লনডেন ছিলেন জীবনের অন্তিম মুহূর্তে, অল্প অল্প শ্বাস নিতে নিতেই ত্যাগ করেন শেষ নিশ্বাস।

* ১৮৮৬ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবর অনুসারে, কলিন্স নামের একটি ছোট্ট মেয়ে হঠাৎ মারা যাওয়ার পর তাকে সমাহিত করা হয়। কিন্তু পরে আবার তার কফিন খোলার পর দেখা যায়, তার হাত, পা আর মুখের অভিব্যক্তি ছিল ভীষণ অস্বাভাবিক, যা তাকে জীবন্ত কবর দেওয়ার ব্যাপারটি প্রমাণ করে।

* ১৮৮৯ সালে দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের একটি খবরে গ্রেনোবলে সমাহিত করা একটি অজ্ঞাত লোকের কাহিনী ছিল। লোকটিকে মৃত ঘোষণা করার পর যখন তাঁর কফিনটি মাটিতে রাখা হচ্ছিল, তখন হঠাৎই ভেতর থেকে গোঙানি আর হাতড়ানোর শব্দ শোনা যায়। কিন্তু যতক্ষণে কফিনটি খুলে তাঁকে বের করে আনা হয়, ততক্ষণে তিনি দম বন্ধ হয়ে মারাই গেছেন। প্রায় একই ধরনের ঘটনার খবর প্রকাশিত হয় ১৮৩৮ সালে, দ্য সানডে টাইমসে।
* ১৮৭৭ সালে দ্য ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে এক মহিলার কথা বলা হয়, যাঁকে মৃত ঘোষণার পর সমাহিত করা হয়। কিছুদিন পর যখন আরেকটি মৃতদেহ দাফনের জন্য তাঁর কবর খোঁড়া হয়, তখন দেখা যায়, তাঁর শরীরটি ভীষণ বাঁকানো। এমন ঘটনা ঘটে ১৮৮৪ সালে মিস হকওয়াল্টের বেলায়ও।

* ১৮৭১ সালে ১৭ বছর বয়সী ম্যারি নোরাহ বেস্টকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তবে ধারণা করা হয়, তার মৃত্যুতে অনেকে উপকৃত হবে বলেই হয়তো তাকে তড়িঘড়ি সমাহিত করা হয়েছিল। ১৮৮১ সালে কফিন খুলে ম্যারির কঙ্কালটি পাওয়া যায় বসা অবস্থায়!

* ১৯০১ সালে মাদাম ববিন ইয়েলো ফিভারে আক্রান্ত হন। সে সময় তিনি ছিলেন গর্ভবতী। তাঁকে মৃত ঘোষণার পর যখন সমাহিত করা হচ্ছিল, তখন তাঁর নার্সের মনে হচ্ছিল, যেন তাঁর শরীরটা গরম আর পেশিগুলোও খুব একটা শক্ত নয়। পরে তার কফিন খুলে দেখা যায় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। তিনি সেখানেই একটি বাচ্চা প্রসব করেছেন আর তারা দুজনই শ্বাস আটকে মারা যায়।

 আইসক্রিম থেকে সাবধান!

অবসর সময়ে একটু আয়েশ করে আইসক্রিম খাচ্ছেন। মাথা ও শরীরটাকে একটু চাঙা করতে চাইছেন। ভালো কথা। কিন্তু খুব খেয়াল! খাবেন—তবে লুকিয়ে লুকিয়ে। কারণ, তৃষ্ণা মেটানোর জন্য যে আইসক্রিম আপনি খাচ্ছেন, তা যদি কেউ দেখে ফেলে, তাহলে উত্তেজিত হয়ে আপনার নামে যৌন হয়রানির মামলা ঠুকে দিতে পারে অনায়াসেই। প্রকাশ্যে একটি আইসক্রিম খেয়েই কিন্তু ফেঁসে গেলেন আপনি। তবে এই আইন নারীদের জন্যই বেশি প্রযোজ্য।
গতকাল শনিবার ডেইলি মেইল অনলাইনের এক খবরে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
খবরে বলা হয়, ফিনল্যান্ডের একদল আইনজীবী অনেক ভেবেচিন্তে যৌন হয়রানির আইনে নতুন বিষয়টি সংযুক্ত করার সুপারিশ করেছেন। তাঁরা বলেন, যেসব নারী জনসমক্ষে অন্যকে উসকানি দেওয়ার ভঙ্গিতে আইসক্রিম খাবেন, শুধু তাঁরাই যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত হবেন। আর বিষয়টি সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করে তুলতে ওই আইনজীবী দল ইন্টারনেটে একটি ভিডিওচিত্র ছেড়েছেন। তাতে দেখানো হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে খুবই অশালীন ইঙ্গিতপূর্ণভাবে আইসক্রিম খাচ্ছেন এক কর্মজীবী তরুণী। আর এ তরুণীর পুরুষ সহকর্মীরা খুবই বিব্রত, অথচ উত্সুক হয়ে তাঁর আইসক্রিম চুষে খাওয়া দেখছেন।
ওই আইনজীবী দল বলে, এটা কি তাহলে যৌন হয়রানির পর্যায়ে পড়ে না? এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে দ্য ফিনিশ লইয়ারস অ্যাসোসিয়েশন। অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা বলছেন, কর্মক্ষেত্রে অনেকে অনেকভাবে নারী বা পুরুষকে যৌন হয়রানি করে থাকে। আর এ ভিডিওচিত্র সে বিষয়ে মানুষকে সতর্ক ও সচেতন করে তুলবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের যৌন হয়রানিবিষয়ক আইনের এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ভিডিওচিত্রটিতে দেখা যায়, ওই নারীর আইসক্রিম খাওয়ার ধরনটি যৌন উত্তেজনাপূর্ণ। আর এ কারণে যে কেউ চোখের পলক না ফেলে ওই নারীর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে। ইউরোপের আইনে বলা আছে, যদি কেউ অন্য কারও সামনে ইচ্ছাকৃতভাবে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করে, তাহলে সেটা অপরাধ। সেই হিসেবে ভিডিওচিত্রটিতে ওই নারীর আইসক্রিম খাওয়ার উত্তেজক দৃশ্যটি অবশ্যই যৌন হয়রানির পর্যায়ে পড়ে।

ফিবোনাচি ধারার রহস্য পর্ব-১



0 1 1 2 3 5 8 13 21 34 55 89 144 233 …………

লিউনার্দো ফিবোনাচি
লিউনার্দো ফিবোনাচি
উপরের ডিজিট গুলোর মাঝে একটা মজার ব্যাপার আছে, বলুন দেখি ব্যাপার টা কি? হ্যা, ধরে ফেলেছেন। এই ধারার প্রত্যেকটি ডিজিট তার আগের দুইটি ডিজিটের যোগফল। আর এই ধারাটাকেই বলা হয় ফিবোনাচি ধারা এবং আমি সহ অনেকের ধারনা ব্যাপক রহস্যময় ধারা।ইতালিয়ান গণিতবিদ লিউনার্দো ফিবোনাচি এই ধারাটি প্রকাশ করেন।
প্রথম থেকেই বলে আসছি রহস্যময়তার কথা, আসুন এখনি কিছু উদাহরন দেখি। কিন্তু তার আগে আমাদের অনেক গুলো ফিবোনাচি সংখ্যা দরকার, চলুন এক নজরে প্রথম ৪৭ টা ফিবোনাচি সংখ্যা দেখে নেই-
F0 0 | F1 1 | F2 1 | F3 2 | F4 3 | F5 5 | F6 8 | F7 13 | F8 21 | F9 34 F10 55 | F11 89 | F12 144 | F13 233 | F14 377 | F15 610 | F16 987 | F17 1597 | F18 2584 | F19 4181 | F20 6765 | F21 10946 | F22 17711 | F23 28657 | F24 46368 | F25 75025 | F26 121393 | F27 196418 | F28 317811 | F29 514229 | F30 832040 | F31 1346269 | F32 2178309 | F33 3524578 | F34 5702887 | F35 9227465 | F36 14930352 | F37 24157817 | F38 39088169 | F39 63245986 | F40 102334155 | F41 165580141 | F42 267914296 | F43 433494437 | F44 701408733 | F45 1134903170 | F46 1836311903
আমরা এক কাজ করি, এই লিস্ট থেকে পরপর যেকোনো 4 টি সংখ্যা নেই।

8 13 21 34

এখন ১ম সংখ্যার সাথে ৪র্থ সংখ্যাটি যোগ করি : 8+34= 42
২য় সংখ্যা সাথে ৩য় সংখ্যা যোগ করি : 13+21= 34
এখন যোগফল দুটি বিয়োগ করলে 42-34= 8 !! সেই প্রথম সংখ্যাটি
অর্থাৎ ফিবোনাচি ধারার যেকোনো ৪ টি সংখ্যার শেষের দুটির যোগফল এবং মাঝের দুটির যোগফলের পার্থক্য প্রথম সংখ্যাটার সমান।
গানিতিক ভাষায়-

(Fn +Fn+4) – (Fn+3 +Fn+2) = Fn

এবার দেখি আরেকটা মজার ব্যাপার, উপরের ফিবোনাচি সংখ্যাগুলো যেগুলো ২ বা তার বেশি ডিজিটের সেগুলোর শেষ ডিজিট গুলো লিখি-

3 1 4 5 9 4 3…………

একটু খেয়াল করলেই দেখবেন এই নতুন ধারাটারও যেকোনো ডিজিট তার আগের ২ ডিজিটের যোগফলের শেষ ডিজিটের সমান। যেমন 9+4=13, এর শেষ ডিজিট 3 ।
আরেকটা অদ্ভুত ব্যাপার হল ফিবোনাচি ধারার প্রতি 60 ফিবোনাচি সংখ্যার পর আবার ফিবোনাচি ধারাই শেষ ডিজিট হিসেবে ফিরে আসে। যেমন-
F60 =1548008755920
F61 =2504730781961
F62 =4052739537881
F63 =6557470319842
F64 =10610209857723
F65 =17167680177565
শেষ ডিজিটগুলো 0 1 1 2 3 5……. আবার ফিবোনাচি সংখ্যা!!!
এতখন আসলে ফিবোনাচি ধারার বৈশিস্ট্য সম্পর্কে বলছিলাম, ফিবোনাচি ধারার আসল মাহার্থ হচ্ছে প্রকৃতির মাঝে ছড়ানো ছিটানো ভাবে থাকা এই ধারা। চলুন দেখি–
মৌমছির জীবন টা একটু অদ্ভুত। একটি ছেলে মৌমাছির জন্ম দেয় শুধু মা মৌমাছি, তার জন্য বাবা মৌমাছির প্রয়োজন নেই। কিন্তু একটি মেয়ে মৌমাছির জন্ম দেয়ার জন্য বাবা এবং মা উভয়েরই প্রয়োজন হয়। আমরা যদি মেয়ে মৌমাছিকে F আর ছেলে মৌমাছিকে M ধরে একটা বংশতালিকা করি তাহলে চিত্রটা এমন হবে-
মৌমাছির বংশতালিকা
মৌমাছির বংশতালিকা
উপর থেকে মৌমাছির পরিবারে সদস্য সংখ্যা গুনতে থাকেলে দেখা যাবে- 0 1 1 2 3 5 8 13 21……., ফিবোনাচি ধারা!!!
আসুন এইবার একটু খরগোসের জীবন চক্র দেখি। এক জোড়া খরগোস বড় হতে সময় লাগে ১মাস।বড় হবার পর ২য় মাস থেকে প্রতিমাসে মেয়ে খরগোসটি ১টি ছেলে আর ১টি মেয়ে অর্থাৎ এক জোড়া খরগোসের জন্ম দেয়। এখন একটু হিসেব করি।
খরগোসের জীবন চক্র
মাস-১ ; ১টি ছেলে আর ১টি মেয়ে বাচ্চা খরগোস ; জোড়া সংখ্যা-১
এই জোড়া বাচ্চা খরগোস গুলোর বড় হতে ১ মাস সময় লাগবে, ফলে-
মাস-২; ১টি ছেলে আর ১টি মেয়ে বড় খরগোস ; জোড়া সংখ্যা-১
বড় হওয়ার পর তারা একজোড়া বাচ্চা খরগোস জন্ম দেবে, তাহলে-
মাস-৩; ১ জোড়া বাচ্চা খরগোস আর ১ জোড়া বড় খরগোস; জোড়া সংখ্যা-২
এরপর, বাচ্চা খরগোস গুলো ১ মাসে বড় হবে এবং এই সময়ের মাঝে বড় খরগোস আরেক জোড়া বাচ্চার জন্ম দেবে, তাই-
মাস-৪; ১ জোড়া বাচ্চা খরগোস আর ২ জোড়া বড় খরগোস, জোড়া সংখ্যা-৩
এর পরের মাসে, ১ মাসে বাচ্চা খরগোস বড় হবে এর এর মাঝে বড় ২ জোড়া খরগোস আরোও ২ জোড়া বাচ্চা খরগোস জন্ম দেবে,
মাস-৫; ২ জোড়া বাচ্চা আর ৩ জোড়া বড় খরগোস,জোড়া সংখ্যা-৫……………… এভাবেই চলতে থাকবে।
তাহলে জোড়া সংখ্যা গুলো একটু লিখি- 1 1 2 3 5 ……..!!!! আমি কিছু বলব না, আপনারাই বুঝে নিন।
আজ এতটুকুই, তবে আবার আসছি আরোও লিখা নিয়ে।এই লিখাটা ধারাবাহিক ভাবে লিখব। ১০ টা পর্বে লিখব বলে ভেবেছি, দেখা যাক কি হয়। আর আপনাদের কাছে আমার কথা হচ্ছে, পোস্ট পরে ভাল লাগুক আর নাই লাগুক, মতামত জানান। আপনাদের মতামত গণিত ইশকুলকে আর অনেক দূর নিয়ে যাবে।

এবার মানুষখেকোর কাছে মিলল মানুষকে বাঁচানোর উপায়!




উত্তাল সাগর মানুষকে হাতছানি দিয়ে ডাকে সবসময়। আর প্রকৃতি-প্রেমী ও অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষের কাছে তো সাগরের দিগন্ত-জোড়া জলরাশির আকর্ষণ একটু অন্যরকম। কিন্তু এই সাগরই কখনও আবার নিজে ভয়াল হয়ে কেড়ে নিয়েছে মানুষের প্রাণ কিংবা সাগরের গহীনে থাকা নিরব ঘাতক হাঙ্গর গ্রাস করেছে মানুষকে। সাগরের দুর্ধর্ষ এক শিকারি প্রাণী এই হাঙ্গর। তাই হাঙ্গর নিয়ে রচিত হয়েছে বহু গল্প-উপন্যাস এবং বিখ্যাত ও লোমহর্ষক অনেক সিনেমা। কিন্তু মানুষখেকো এই হাঙ্গরই এবার সন্ধান দিল মানুষের জীবন সুরক্ষাকারী এক উপাদানের।

সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডগ ফিশ নামক এক হাঙ্গরের টিস্যুতে ‘স্কোয়ালামাইন’ নামক কোলেস্টেরল দিয়ে তৈরি এক ধরনের উপাদান রয়েছে যা মানুষের প্রাণঘাতী রোগ ডেংগু ও হেপাটাইটিস রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস সহ আরও অনেক ভাইরাসকে ধ্বংস এবং প্রতিরোধ করতে সক্ষম।

'স্কোয়ালামাইন' নামক এই উপাদানটি ইতোমধ্যে গবেষকরা পরীক্ষামূলকভাবে মানবদেহে ক্যান্সার ও চোখের সমস্যার চিকিৎসা হিসেবে কোনরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া প্রয়োগ করা হয়েছে। নতুন এ গবেষণায় দেখা গেছে এই উপাদানটি বিভিন্ন ক্ষতিকারক ভাইরাসের জীবনচক্রে বিঘ্ন ঘটায় এমনকি জীবন্ত প্রাণীদেহে কিংবা টিস্যু কালচারেও এদের বংশবৃদ্ধি রোধ করতে সক্ষম।

এই গবেষণা দলের প্রধান ও জর্জটাউন মেডিকেল সেন্টারের গবেষক মাইকেল জেশলফ বলেন “এটা ভাইরাসজনিত রোগের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা একদম নতুন একটি পদ্ধতি”

এছাড়া তিনি আরও বলেন:
“বর্তমানে দীর্ঘমেয়াদী ইনফেকশন রোগের চিকিৎসায় এটি একটি কার্যকরী পদ্ধতি"

জেশলফ বলেন-'স্কোয়ালামাইন' একটি ধনাত্মক চার্জযুক্ত একটি যৌগ তাই এটা যখন কোন কোষের ভিতর প্রবেশ করে তখন তা কোষের অভ্যন্তরে অবস্থিত নেগেটিভ চার্জযুক্ত মেমব্রেনের সাথে গিটের মতো করে যুক্ত হয়। এটির নিরাপদ দিক বিবেচনা করে জেশলফ বলেন যে, এক বছরের এটি মানবদেহে চিকিৎসার জন্য প্রয়োগ করা হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, হাঙ্গর তার দেহাভ্যান্তরে এই উপাদানটি প্রায় ৭০০ মিলিয়ন বছর ধরে লুকিয়ে রেখেছে। কিন্তু এখন এটি আমাদের জন্য একটি উপহার।
original post

 দশম শ্রেণীর পরীক্ষা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী!

শিক্ষার যে কোনো বয়স নেই, তা আবার প্রমাণ করলেন ভারতের পদুচেরি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। রাজ্যমন্ত্রী হয়ে তিনি বসলেন দশম শ্রেণীর সাপ্লিমেন্ট পরীক্ষায়। গত বৃহস্পতিবার চেন্নাই থেকে ১২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পদুচেরি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পি এম এল কল্যাণসুন্দরম এমনই এক অভাবনীয় ঘটনার জন্ম দিয়েছেন দশম শ্রেণীর অন্য সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে পরীক্ষায় বসে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে বলা হয়, পি এম এল সুন্দরমের বয়স এখন ৩৪। ১৯৯১ সালে দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় বিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞানে ফেল মেরে পড়ালেখায় ইতি টানেন তিনি। এরপর বড় ভাইয়ের ব্যবসায় সহযোগিতা করতেন। এর ১০ বছর পর রাজনীতি শুরু করেন তিনি। আর ২০০৬ সালে রাজ্যসভার নির্বাচনে বিজেপির টিকিট পেয়ে যান। এরপর আর ঠেকায় কে? হয়ে যান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।
দুই দশক পর গত বৃহস্পতিবার তিনদিভানাম শহরের একটি বেসরকারি স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগের হয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন। তিনি বলেন, তিনি স্কুল পাস করে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে চান। তিনি আরও বলেন, ‘আমার কয়েকজন বন্ধুর সহযোগিতায় পরীক্ষার প্রস্তুতি নিই। গতকাল (বৃহস্পতিবার) আমি বিজ্ঞান পরীক্ষা দিয়েছি। তবে জরুরি সভা থাকায় আজকের (শুক্রবার) সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষায় অংশ নিতে পারিনি।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, তিনি বিজ্ঞান পরীক্ষা ভালোই দিয়েছেন। এ বিষয়ে ৬০ নম্বরের বেশি পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
কল্যাণসুন্দরম জানান, শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর ২০১১-১২ সেশনে তিনি মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ওপেন ইউনিভার্সিটি ব্যবস্থায় বিএ (ইতিহাস) ক্লাসে ভর্তি হন। তিনি বলেন, ‘অনেকে আমাকে ডিগ্রি কেনার জন্য বলেছেন। তবে আমি মনে করি, যথাযথ উপায়ে আমাকে ডিগ্রি অর্জন করতে হবে। আর তাই উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরও আমি আমার পরীক্ষা শেষ করতে চাই।’
তিনদিভানামের জেলার শিক্ষা কর্মকর্তা সি শানমুগাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার তিনি বিজ্ঞান পরীক্ষা দিয়েছেন, তবে শুক্রবার সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নেননি। পরে জানতে পারেন যে তিনি পদুচেরির একজন মন্ত্রী।’

জেনে নিন প্রথম কিছু



● প্রথম চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠিত হয় চীনে।

● বিশ্বের প্রথম ল্যাপটপ 'আইবিএম ৫১১'

● এশিয়ায় প্রথম নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

● বিদেশী প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে প্রথম বাংলাদেশে আসেন ইন্দিরা গান্ধী।

● বাংলাদেশে প্রথম আগমনকারী বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী জেমস কালাহান।

● বাংলাদেশে প্রথম আগমনকারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন।

● ফ্রান্সের প্যানহার্ড অ্যান্ড লেভাসর বিশ্বে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গাড়ি নির্মাণ করে।

● ১৯৯৪ সালে 'ফগক্যাম' নামক ওয়েব ক্যামটি সান ফ্রান্সিস্কো ইউনিভার্সিটিতে সর্বপ্রথম আবিষ্কৃত/ব্যবহৃত হয়, যা এখনো সচল রয়েছে।

● সিডি (কম্পেক্ট ডিস্ক) প্রথম সফলভাবে তৈরি করতে সক্ষম হয় জাপানি প্রতিষ্ঠান সনি।

● বিশ্বখ্যাত কোমল পানীয় কোকাকোলার প্রথম বিক্রিটি হয় ৮ মে, ১৮৮৬ সালে, জর্জিয়ার জ্যাকব’স ফার্মাসিতে!!!

● প্রথম মহাকাশচারী ইউরী গ্যগরিন।

● প্রথম মহাকাশ পর্যটক যুক্তরাষ্ট্রের ড্যানিস টিটো।

● প্রথম টেষ্ট ক্রিকেট ব্যাটসম্যান চার্লস ব্যানারম্যান (অষ্ট্রেলিয়া)।

● টেষ্ট ক্রিকেট প্রথম বোলার আলফ্রেওশ (ইংল্যান্ড)।

● জিম লেকারই প্রথম, যিনি টেষ্টের ১ ইনিংসে ১০ উইকেট শিকার করেন।

● টেষ্ট ক্রিকেটের প্রথম ভেন্যু হল মেলবোর্ন (অষ্ট্রেলিয়া)।

● প্রথম ডাকটিকিটের নাম 'পেনিব্ল্যাক' (ইংল্যান্ড)।

● প্রথম টেষ্টটিউব বেবি - লুইস ব্রাউন।

● পৃথিবীর প্রথম বোটানিক্যাল গার্ডেন স্থাপিত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৬৯৫ সালে প্রাচীন আসিরীয় রাজ্যের নিনেভাহতে।


সূত্র

৩০ অক্টোবর ভারত মাতাবে মেটালিকা, লেডি গাগা

প্রথমবারের মতো ভারতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফরমুলা ওয়ান গ্রাঁ প্রির সমাপণী অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষে চলতি বছরের ৩০ অক্টোবর ব্যাঙ্গালোরের প্যালেস গ্রাউন্ডে পারফর্ম করবে মার্কিন হেভি মেটাল ব্যান্ড মেটালিকা এবং পপ গায়িকা লেডি গাগা। খবর আইবিএন-এর।

অক্টোবরে ভারত সফরে আসছে মেটালিকা। ২৮ অক্টোবর গুড়গাঁয়ের লেইজার ভ্যালিতে এফ ওয়ান রকস কনসার্টে অংশ নেবে ব্যান্ডটি। এ ছাড়া ৩০ অক্টোবর ব্যাঙ্গালোরেও পারফর্ম করবে মেটালিকা।

এ ছাড়া, ফরমুলা ওয়ান গ্রাঁ প্রির সমাপণী অনুষ্ঠান উপলক্ষে ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে লেডি গাগা শো। ইতোমধ্যেই অনুষ্ঠানটিতে অংশ নিতে সম্মতি জানিয়েছেন তিনি।



বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম

Facebook Twitter RSS